বি-দেশ নিউজ ডেস্ক
২৫ এপ্রিল ২০২১:
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাংলাদেশকে বেশ জোরেসোরেই আঘাত করেছে। দেশের বেশিরভাগ করোনা-হাসপাতালে রোগির জন্য বেড খালি নেই। আইসিইউ শঙ্কট গোটা দেশেই। যে ক’টাও খালি আছে সেগুলোও সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাইরে। রোগতত্ত্ববিদরা বলছেন, আগের ধরনের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের নতুন কিছু ধরণ যুক্ত হয়েছে আর সে কারণেই দ্বিতীয় ঢেউ কঠিন পরীক্ষা নিচ্ছে রোগীদের। চিকিৎসকরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের তিন ধরনের (মৃদৃ, মাঝারি ও তীব্র) উপসর্গ আছে। সেই উপসর্গের ওপর ভিত্তি করে আপনাকে রোগির চিকিৎসা করতে হবে। এ অবস্থায় জেনে নিন কোন উপসর্গ কেমন এবং কোন উপসর্ হলে কী করবেন?
মৃদু উপসর্গগুলো:
১. জ্বর ( ১০০ ডিগ্রির নিচে ) ২. শুকনা কাশি ৩. গলা ব্যাথা ৪. ক্লান্তি বা দুর্বলতা ৫. মাথা ব্যাথা ৬. পেশীতে ব্যাথা ৭. চুলকানি ও ব্যথাযুক্ত দাগ ৮. পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া কিংবা বমি ৯. মুখে স্বাদ না থাকা ১০. নাকে গন্ধ না পাওয়া।
মৃদু উপসর্গে কী করবেন:
• কোভিড-১৯ আক্রান্ত রােগীরােগীর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি ১৪ দিন পর্যন্ত আইসােলেশনে থাকবেন (চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময়সীমা বেশি বা কম হতে পারে) • রােগীকে আলাদা কক্ষ ও আলাদা শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে • রােগীর তৈজসপত্র যেমন- থালা, গ্লাস, কাপ, তােয়ালে, বিছানার চাদর ইত্যাদি অন্য কারাে সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবেনা • রােগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে • রােগীকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন-সি যুক্ত ফল যেমনঃ লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকি প্রভৃতি খেতে হবে • একটি থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে • যদি নতুন উপসর্গ দেখা দেয় বা আগের উপসর্গের অবনতি হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
মাঝারি উপসর্গগুলো:
১. জ্বর ( ১০১-১০২ ডিগ্রি ) ২. শরীরে শিরশিরে ভাব (নিয়মিত কাঁপুনিসহ) ৩. ভারি কাশি ৪. শ্বাসকষ্ট (অক্সিজেন সেচুরেশন ৯৪% এর নীচে) ৫. ক্লান্তি ৬. শরীরে ব্যথা ৭. পেশীতে ব্যাথা।
মাঝারি উপসর্গে কী করবেন:
• কোভিড-১৯ আক্রান্ত রােগীরােগীর সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তি ১৪ দিন পর্যন্ত আইসােলেশনে থাকবেন (চিকিৎসকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময়সীমা বেশি বা কম হতে পারে) • রােগীকে আলাদা কক্ষ ও আলাদা শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে • রােগীর তৈজসপত্র যেমন- থালা, গ্লাস, কাপ, তােয়ালে, বিছানার চাদর ইত্যাদি অন্য কারাে সাথে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবেনা • রােগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে • রােগীকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও ভিটামিন-সি যুক্ত ফল যেমনঃ লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকি প্রভৃতি খেতে হবে • একটি থার্মোমিটার দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে • পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেন স্যাচুরেশন পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে • শ্বাসকষ্টের জন্য এই উপদেশগুলাে মেনে চলা যেতে পারে; উপুর হয়ে শােয়া, নিদেন পক্ষে উপুর হতে না পারলে পাশ ফিরে শােয়া, ব্রিদিং এক্সারসাইজ করা, দিনে ২-৪ বার নিঃশ্বাসে গরম পানির ভাপ নেয়া, দিনে অন্তত ২/৩ কাপ গরম মসলা চা খাওয়া । দিনে একবার নাকে কালিজিরা ভিজানাে পানির ড্রপ নেয়া, কালিজিরা, রসুন, মধু ইত্যাদি খাওয়া।
তীব্র উপসর্গগুলো:
১. তীব্র শ্বাসকষ্ট ২. কিছুই খেতে না পারা ৩. পানিশূন্য হয়ে পড়া ৪. বারবার বমি হতে থাকা ৫. বুকে প্রচন্ড ব্যাথা বা অস্বস্তি ৬. অসংলগ্ন কথাবার্তা বলা বা বিভ্রান্তি বা অর্ধচেতন বা অবচেতন ৭. চোখে সমস্যা (যেমনঃ চোখ থেকে পানি পড়া, ফোলা চোখ ইত্যাদি) ৮. চেহারা বা ঠোঁট বা জিভ নীলচে হওয়া।
তীব্র উপসর্গে কী করবেন:
• রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে