গ্রীসের এথেন্স দূতাবাসে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু’র উদ্বোধন উদ্যাপন করা হয়েছে।এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা নিয়া মানোলাদায় এক উন্মুক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিকও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলায়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পদ্মা সেতুর উপর নির্মিত তথ্যমূলক ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
‘পদ্মা সেতু উদ্বোধন একটি স্বপ্নের উন্মোচন’ বিষয়ে আলোচনা পর্বে বক্তারা পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত আসুদ আহ্মদ তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের এই দিনটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরইতিহাসে চির ভাস্বর হয়ে থাকবে। সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত এই সেতু আমাদের জাতীয় সক্ষমতার পরিচয় বাহক এবং অভূতপূর্ব উন্নয়নের মাইলফলক উল্লেখ করে তিনিবলেন, এই সেতু আমাদের দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রাখবে এবং দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোর সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোর দূরত্ব কমাবে এবং উভয় অঞ্চলের গণমানুষের মধ্যে পারস্পরিক আন্তঃযোগাযোগ বেগবান হবে। এতে করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত এই উদ্যাপন অনুষ্ঠান গ্রিস প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি, জনগণের জান-মালেরনিরাপত্তা, দেশেরশান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।