পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক বিদ্যাপীঠ মিশরের জামেয়াতুল আযহার বা আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়। মিশরের রাজধানী কায়রোর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। তাতে আযহার ক্যাম্পাসে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির অসাধারণ মেলবন্ধন ঘটে। যদিও আল- আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশিদের আগমণের ইতিহাস দু’দশকের বেশী নয়। তবে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে পাঁচশ’রও বেশী শিক্ষার্থী এসেছে সভ্যতার সূতিকাগার বলে পরিচিত মিশরে।
ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও মনে করেন স্থানীয়রা। শিক্ষা-দীক্ষা, বাংলা সংস্কৃতি চর্চাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ধারা অব্যাহত রাখতে ’আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ’সহ বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন কাজ করছে অনেকদিন ধরেই।
বরাবরের মত এবারও ঈদ উল আজহার পরদিন রোববার (১০ই জুলাই ২০২২) রাজধানী কায়রোর ছকরে কুরাইশ মসজিদুত তাইসির হল রুমে বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র ব্যানারে পূর্ণমিলনী আয়োজন করা হয়। জাঁকজমক আয়োজনে যোগ দেন প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
ছাত্রদের জন্য গরু, দুম্বা মিলিয়ে কোরবানিসহ আনন্দ-বিনোদনের লক্ষ্যে দামামা শিল্পীগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ছিলো অসাধারণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভিন্ন কৌতুক মঞ্চায়নসহ বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের সঙ্গীত পরিবেশনা অনুষ্ঠানকে ভিন্নমাত্রা দেয়।
বিনোদন শেষে সোসাইটির সভাপতি মাও. শরিফ উদ্দীন আব্দুল মান্নান এবং সাবেক উপদেষ্টা ড. হাসিবুর রহমান আযহারির নেতৃত্বে সোসাইটির সংশোধিত সংবিধানের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছাত্রদের সকলেই করতালির মাধ্যমে সংবিধানের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল দায়িত্বশীলকে কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন।
সর্বশেষ বিশ্বমানবতার কল্যাণ কামনা করে সম্মিলিত মোনাজাতের পর বাঙ্গালী স্বাদে প্রস্তুতকৃত খাবার গ্রহণের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের হৃদ্যতাপূর্ণ মিলনমেলা শেষ হয়। নারী পুরুষ মিলিয়ে অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও প্রবাসী অতিথি উপস্থিত ছিলেন।