সৌদি আরবের রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাসে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সকালে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত ডক্টর মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, শহিদ শেখ কামাল ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।
তিনি যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশের যুব সমাজকে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করে একটি আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন সৃজনশীল উদ্যমী প্রাণবন্ত তরুণ, যিনি মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র ধরেছেন। একজন সংগঠক হিসেবে ক্রীড়া, সংগীত, নাটক, সংস্কৃতিতে ও সামাজিক কর্মকান্ডে তরুণদের নেতৃত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীনতাউত্তর যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ পূনর্গঠন ও পূনর্বাসন কর্মসূচীর পাশাপাশি সমাজ সতেনতায় উদ্বুদ্ধকরনে মঞ্চ নাটক আন্দোলনে শেখ কামাল ছিলেন প্রথম সারির সংগঠক। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সে সময়ের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠীর ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীনতাউত্তর যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাংলাদেশ পূনর্গঠন ও পূনর্বাসন কর্মসূচীর পাশাপাশি সমাজ সতেনতায় উদ্বুদ্ধকরনে মঞ্চ নাটক আন্দোলনে শেখ কামাল ছিলেন প্রথম সারির সংগঠক। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। সে সময়ের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠীর ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে শেখ কামাল সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ভারতের দেরাদুনে মূর্তি ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। দেশে ফিরে তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধানসেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর এডিসির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, শহীদ শেখ কামালের জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তার স্বপ্ন হারিয়ে যেতে পারে না। তিনি যুব সমাজকে শেখ কামালের জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহবান জানান। তিনি এ সময় প্রবাসীদের বলেন, আসুন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখি।
এ সময় বাংলাদেশ অভিবাসীদের মধ্যে ব্যবসায়ী এম আর মাহাবুব, প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, জাকির হোসেন ও মোঃ আব্দুস সালাম শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনের ওপর বক্তব্য রাখেন। দূতাবাসের কার্যালয় প্রধান কাউন্সেলর মোঃ বেলাল হোসেন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন। অনুষ্ঠানে কামালের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ১৫ আগস্ট নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।