এশিয়ার সৌন্দর্যের প্রতীক দ্বীপ রাস্ট্র মালদ্বীপ, যাকে সাগরকন্যা ও নিলাভূমি হিসাবেও চেনে অনেকে। এদেশের জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। অন্যদিকে আইল্যান্ড রিসোর্ট প্রায় ১২’শ। এ দেশের আয়ের প্রধান উৎস হলো মাছ আর পর্যাটন। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি বাংলাদেশের বড় একটা শ্রম বাজার। বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় এক লাখ বাংলাদেশী প্রবাসী কাজ করেন এখানে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, এ সমস্যা দীর্ঘ হতে পারে৷ এই কঠিন সময়ে যে দুটি খাত বাংলাদেশকে অক্সিজেন দিয়ে যাচ্ছে তা হলো— রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে তথ্যানুযায়ী, প্রায় ৪১ শতাংশ প্রবাসী হুন্ডি বা অবৈধ পথে দেশে টাকা পাঠান। যাকে দেশের জন্য দুঃসংবাদ বলা যায়।২.৫ শতাংশ প্রণোদনার পরও প্রায় অর্ধ শতাংশ মালদ্বীপের প্রবাসীরাও কেন হুন্ডিকেই বেছে নিচ্ছেন?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে মালদ্বীপের প্রবাসীরাও চান তাদের কষ্টের অর্জন বৈধভাবে দেশে পাঠানোর জন্য। কিন্তু মালদ্বীপের প্রবাসীদের একটি দাবি ছিল যে মালদ্বীপে একটি ব্যাংকের শাখা খোলার জন্য, যেখানে মালদ্বীপের প্রবাসীরা রুপিয়া জমা করে বাংলাদেশে তাদের কষ্টার্জিত ‘টাকা’ উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সরকারের কাছে উপস্থাপন করার পরও সমাধান হয়নি। যে কারণে প্রবাসীদের না চাইতেও বেছে নিতে হচ্ছে হুন্ডি। টাকা পাঠানোর জন্য যদিও এ পথে প্রতারিত হয় অনেক প্রবাসী, তবুও কোন উপায় নেই। কেননা, এখানে ডলার কিনতে গেলে গুনতে হয় অনেক লস।
প্রবাসীরা মনেকরেন সরকার তাদের সামান্য কিছু সমস্যা সমাধান করে দিলে সরকার বৈধ পথে বড় ধরনের রেমিট্যান্স পাবে।
এয়ারপোর্টে লাগেজ ব্যবস্থার উন্নতি করা, ট্রলি পার্কিং এরিয়ায় নিতে দেওয়ার
এয়ারপোর্টে লাগেজ ব্যবস্থার উন্নতি করা। ট্রলি পার্কিং এরিয়ায় নিতে দেওয়া।দূরপাল্লার যাত্রী যারা রাতে অবতরণ করে, বিভিন্ন জেলায় নিরাপদে পৌঁছার জন্য বাসের ব্যবস্থা করা। ভাড়া যাত্রীরাই দেবে।প্রবাসে মৃত্যুবরণ করলে তাদের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করা।
মতো সমস্যাগুলো মিটে গেলে মালদ্বীপের প্রবাসীরা অনুপ্রাণিত হবেন এবং তারা হুন্ডি ছেড়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।