শুক্রবার জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান লুইস লিবেরিও কারিলহোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশকে অন্যতম প্রধান পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান, শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অবদান, তাদের পেশাদারিত্ব ও কর্মনিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশের আইজিপি’র বৈঠক
পূর্ব তিমুর ও হাইতিতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের যে উচ্চ পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধ তিনি দেখেছেন তা উল্লেখ করেন জাতিসংঘের পুলিশ প্রধান।
এছাড়া জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন মালি ও কঙ্গোতে কর্তব্যরত বাংলাদেশী পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্বেরও প্রশংসা করেন লিবেরিও।বাংলাদেশ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য মোতায়েন করে আসছে যা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান।
আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের যে কোনো প্রয়োজনে সাড়া দিতে বাংলাদেশ পুলিশ সদা প্রস্তুত আছে। বিশেষ করে আফ্রিকার ঝুঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষ ও পেশাদারী বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েনের অনুরোধ জানান আইজিপি।
এক্ষেত্রে তিনি সোয়াট, ক্যানাইন, রিভারাইন ও গার্ড পুলিশ এবং ফরেনসিক ইউনিটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েন ও জাতিসংঘ পুলিশের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রশিক্ষণ আয়োজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার কথা তুলে ধরেন।
জাতিসংঘ সদরদপ্তর এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাঠ পর্যায়ে উচ্চপদে বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়োগের অনুরোধ জানান আইজিপি।
এ সময় শান্তিরক্ষা মিশনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবারাহের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ পুলিশ আগামী দিনগুলোতেও সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে মর্মে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান।
বৈঠকে জাতিসংঘ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: সাদেকুজ্জামান ও পুলিশ সদরদপ্তরের ওভারসিজ এন্ড ইউএন অপারেশন শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিয়ান ওয়াজেদ উপস্থিত ছিলেন।