সৌদি আরবে বাংলাদেশি খাদ্য ও কোমল পানীয়র চাহিদা দিন দিন বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডক্টর মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। ফলে আগামী দিনে এ সকল পন্যের রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও মনে করেন তিনি।
সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ২৬ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী ও অন্যান্য এশিয়ান দেশের অভিবাসীদের কাছে বাংলাদেশি পন্যের চাহিদা আছে এবং তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রবাসীদের পাশাপাপাশি সৌদি নাগরিকদের চাহিদা মাথায় রেখে পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা করা গেলে সৌদি আরবে বাংলাদেশি পন্যের বিশাল বাজার তৈরি হতে পারে বলেও মনে করেন রাষ্ট্রদূত।
১৪ সেপ্টেম্বর রিয়াদের আন্তর্জাতিক এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত আন্তর্জাতিক খাদ্য ও পানীয় পন্যের মেলা ‘ফুডেক্স সৌদি’তে বক্তব্য দিতে গিয়ে একথা বলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
রিয়াদে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ দিনব্যাপী নবম আন্তর্জাতিক ‘ফুডেক্স সৌদি’ শুরু হয়েছে। মেলায় ৩০ টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। বাংলাদেশ দূতাবাস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে বাংলাদেশের ৪টি প্রতিষ্ঠানও এই মেলায় অংশ নেয়।
মেলায় যোগ দেওয়া বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বেঙ্গল মিট প্রসেসিং, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, বসুন্ধরা ফুড এন্ড বেভারেজ এবং এসএন্ডবি নাইস ফুড ভ্যালি লিমিটেড। জাবেদ পাটোয়ারী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশী পন্য বিশ্বমানের এবং আশা করা যায় মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সৌদি আরবে বাংলাদেশী খাদ্য পন্যের বাজার ও রপ্তানী বাড়বে।
সৌদি আরবের বাজারে মাছ-মাংসসহ সকল খাদ্যপন্য প্রবেশের ক্ষেত্রে যে সকল মান নিয়ন্ত্রণ দরকার তা নিশ্চিত করে পণ্য রপ্তানি সুগম করার জন্য দূতাবাস নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
সৌদি আরবে ইতোমধ্যে প্রাণ, বিডিফুডসহ বেশ ক’টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য রয়েছে, যা বাংলাদেশিসহ অভিবাসীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তিনি এসকল পণ্যের বাজারজাতকরণ, প্রচার এবং উন্নতমানের প্যাকেজিং এ গুরুত্বারোপ করেন।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব প্রায় ৮০ শতাংশ খাদ্যপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে। মেলায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শেফ নিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
মিশন উপ-প্রধান আবুল হাসান মৃধা, মিনিস্টার এস এম রাকিব উল্লাহ, ইকোনমিক কাউন্সেলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান, কাউন্সেলর (শ্রম) মুহাম্মদ রেজায়ে রাব্বী, প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, প্রথম সচিব মনজুর-ই-মাওলা, ও সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি তৌফিকুর রহমান মেলা পরিদর্শন করেন।