‘শান্তির জন্য ঢোল সংলাপ’ শ্লোগানে মিশরে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক ঢোল ও ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প উৎসব। এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশও।
মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালেয়ের আয়োজনে এই উৎসবের দশম আসরে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩০টি সাংস্কৃতিক দল অংশ নিচ্ছে। বাকি দেশগুলো হলো- গ্রীস, মেক্সিকো, ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ সুদান, আলজেরিয়া, ইয়েমেন, ফিলিস্তিনের ও স্বাগতিক মিশর।
শনিবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক কায়রোর ঐতিহাসিক মুইয-ঈল স্ট্রিটের উত্তর কায়রো ওয়াল থিয়েটারে উৎসবে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রী ডক্নেটর ভিন আল-কিলানি ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ডঃ হালা আল-সাইদ, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন। ছিলেন আন্তর্জাতিক ঢোল উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইন্তেসার আবদেল ফাত্তাহ।
কায়রোর বাংলাদেশ দূতাবাসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৮ সদস্যের প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীদের একটি সাংস্কৃতিক দল এতে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশ দলটি শুধু উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিলেও অন্যান্য দেশের সংস্কৃতিক দলগুলো সপ্তাহ ব্যাপি প্রতি দিন অংশ নিবে রাজধানী কায়রোর এই ৫টি থিয়েটারে- ইসলামিক কায়রোর নর্থ ওয়াল থিয়েটার, অপেরা হ্যানাগার স্কোয়ার, আল-হাউদ আল-মারসু সাংস্কৃতিক কেন্দ্র , হেলিও পোলিসের মিশরীয় সভ্যতা ও শিশু জাদুঘর এবং সাঈদা জয়নব এলাকার দি সিনারি হাউস।
বাংলাদেশ সংস্কৃতি দলের শিল্পীরা হলেন শিশির কুমার সরকার, ফারুক হোসেন, মোঃ ফেরদৌস, সোহেল, দেলোয়ার, প্রীতি সরকার, সানজিদা মুনা ও ইশা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ-মিশরের বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং কায়রো-ঢাকা বিনিময় ও সহযোগিতা গভীরতর হচ্ছে। আন্তর্জাতিক ঢোল ও লোকশিল্প উৎসবটি দুই দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনের দ্বার আরও উন্মুক্ত করবে।
মিশরের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি ও শিল্প বিশেষজ্ঞ এবং খ্যাতিমান শিল্পী ইন্তেসার আবদেল ফাত্তাহ ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ঢোল ও লোকশিল্প উৎসবের সূচনা করেছিলেন। তিনি মিশরীয় আর্টস ট্রুপের মতো বিভিন্ন শিল্প গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক ঢোল ও লোকশিল্প উৎসবটি ২ই জুন রোজ শুক্রবার পর্যন্ত চলবে।
এ জাতীয় আরো খবর..