বখাটেদের হাত থেকে বাঁচতে পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে প্রাণ দিলেন মিশর প্রবাসী বাংলাদেশি। ১৯শে জুন, সোমবার রাত একটার সময় স্থানীয় বখাটেদের হাত থেকে পালাতে গিয়ে প্রাণ দেন মাগুরা জেলার আলমগীর হৃদয় নামের এক প্রবাসী।ওই সময় আহত হয়েছেন নওগাঁ জেলার রাসেল হোসেন ও ভাগিনা রাসেল নামের আরো দুই প্রবাসী।
জানা গেছে, বন্দর নগরী আলেক্সান্ডারীয়ার আলেক্স এপ্যারেল নামের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত চারজন প্রবাসী তাদের দুই মিশরীয় বান্ধবীকে বাসায় ঢেকে আনে।
কিছুক্ষণ পর এলাকার স্থানীয় কিছু বখাটে ছেলে এসে হানা দেয় এবং তাদের কাছে টাকা দাবী করে। বখাটেদের দাবী অনুযায়ী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বাহির থেকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে হুমকি দিতে থাকে।
ভিতরে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা আতঙ্কিত হয়ে পাঁচ তলা বিল্ডিংয়ের পেছনের টয়লেটের পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। এ সময় আলমগীর হৃদয় নামের একজন নিচে পরে মৃত্যুবরণ করে।
রাসেল ও ভাগিনা রাসেল নামের আরো দুই জন ওই পথ অবলম্বন করতে গিয়ে দুই ইমারতের মাঝে আটকে যায়। এতে ভাগিনা রাসেলের বুকের পাঁজর ভাঙ্গে যায় ও রাসেল সেখানেই আটকে থাকে।
পরে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিলে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

পলাতক আব্দুর রাজ্জাক
নিহত ও আহত সবাই মিশরে গত ৮/১০ বছর যাবত অবৈধভাবে মিশরের বিভিন্ন পোশাক শিল্পে শ্রমিকের কাজ করতেন।
পরদিন সকালে ভাগিনা রাসেলের মামা খবরাখবর আনতে থানায় গেলে পুলিশ থাকে আটকের চেষ্টা করে। পরে তার বৈধ কাগজপত্র দেখালে তার রেসিডেন্ট কার্ড রেখে ছেড়ে দেয়। ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা রাজ্জাক নামের আরেক প্রবাসী পুলিশ আসার আগেই সটকে পরে।
এ ব্যপারে কায়রোস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) জনাব ইসমাইল হোসেন ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত হয়েছি। ঘটনাটি অত্যন্ত অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক। এ্যালেক্স এপার্যালসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হয়েছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে যা করণীয় তা করা হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..