বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে মিশরে ৮ আগস্ট (মঙ্গলবার) যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম এবং জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালসহ জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রার্থনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মোহাম্মদ ফেরদৌস এর সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বের শুরুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। পরে বঙ্গমাতা ও শেখ কামালের জীবন-কর্মের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের গৌরবময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন।
বক্তাগণ শেখ কামালের মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধ-পরবর্তীতে স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
বক্তরা বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত নম্র, শান্ত ও অসীম ধৈর্যের অধিকারী ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নেপথ্য শক্তি, সাহস ও বিচক্ষণ পরামর্শক হয়ে জড়িয়ে আছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব।
সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের গৌরবোজ্জ্বল কর্মময় স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বহু গুণের অধিকারী শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল দক্ষ সংগঠক। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি, ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে এবং বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
বঙ্গমাতা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত বলেন, সংগ্রামী জীবনে জাতির পিতাকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে এবং এ সময় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব দৃঢ়তা, বিচক্ষণতা ও অসীম সাহসিকতার সাথে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ণরত বাংলাদেশী কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননাপত্র প্রদান করেন এবং তাদের নিয়ে বঙ্গমাতা ও শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন।
এ জাতীয় আরো খবর..