1. admin@b-desh.news : admin :
  2. : itsme :
  3. : wp_update-Yo7x9NAv :
মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ সাক্ষাৎকার

রিপোর্টারঃ
  • আপডেট টাইমঃ শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশে শেষ হলো ১০ দিনের বিশেষ উৎসব ‘মুজিব চিরন্তন’। সেই আয়োজনের পাশাপাশি বিশেষ এই সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতেও হচ্ছে নানা আয়োজন। বাঙালি জাতির জন্য এই বিশেষ সময়টি উদযাপন করেছে আফ্রিকার দেশ মিশরে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। উল্লেখ করা যেতে পারে আগামীকাল ২৮ই মার্চ ২০২১, রোববার স্থানীয় সময় সন্ধা ৬টায় মিসরের রাজধানী কায়রোর তাহেরী স্কয়ারের পাশে হোটেল সেমিরামিস ইন্টারকন্টিনেন্টালে মিশর দূতাবাস উদযাপন করবে বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান।

এই বিশেষ উপলক্ষে মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামের এই বিশেষ সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বি-দেশ নিউজের মিশর ব্যুরো প্রধান আফছার হোসেন

বি-দেশ নিউজ: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মিশর দূতাবাসও নানাভাবে উদযাপন করছে, একটু বিস্তারিত জানাবেন কী?

রাষ্ট্রদূত: ঠিক বলেছেন, আমাদের জন্য এই বছরটির গুরুত্ব অনেক। আমরা চেষ্টাও করছি নিজেদের সেরাটা দিয়ে এই বছরটি উদযাপন করতে।মিসরের সরকারের সকল উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, মিসরস্থ সকল রাষ্ট্রদূত, প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আমরা রিসেপশন আয়োজন করতে যাচ্ছি। তাছাড়া সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনীর আরবি সংস্করণ বিতরণ, বিশেষ টি-শার্ট ও মগ বিতরণ করা হয়েছে। এক কথায়, এই সুযোগে আমরা গোটা বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছি।

বি-দেশ নিউজ: মিশরে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সাফল্য কতটা? আর ভবিষ্যত পরিকল্পনাই বা কী?

রাষ্ট্রদূত: আপনারা জানেন যে, কৃষি এবং পোশাক শিল্পে বাংলাদেশিরা বিনিয়োগ ও কর্মক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছে। এই দুই শিল্পের সম্ভবানাও অপরিসীম। নূতন রাজধানী তৈরির জন্য নির্মাণশিল্পও ক্রমবর্ধমান, যেখানেও আমাদের অনেককিছু করার আছে। আমরা চেষ্টা করছি এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে।

বি-দেশ নিউজ: দূতাবাসের কার্যক্রমে কী ধরনের পরিবর্তন আনছেন, এতে করে মিশরের সঙ্গে সম্পর্কে কী ধরনের পরিবর্তন আসছে বলে মনে করেন?

রাষ্ট্রদূত: বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নধারা ও সম্ভাবনাকে মিসরীয়দের মাঝে তুলে ধরার জন্য সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করছি। দু’দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কও সুদৃঢ় করার জন্য সরাসরি বিমান চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আরও কিছু উদ্যোগ চলমান আছে, ক্রমশও সেগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবো আশা করছি।

বি-দেশ নিউজ: মূলত এখন কূটনীতি মানেই ধরে নেওয়া হয় অর্থনৈতিক কূটনীতি, আপনার কোন বিশেষ উদ্যোগ আছে কী?

রাষ্ট্রদূত: আমরা নানা আয়োজন শুরু করেছি। বিশেষ করে বিনিয়োগ বাড়াতে নানা ধরতের সেমিনার, বাণিজ্যমেলা আয়োজনের চেষ্টা করছি। তাছাড়া ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের কাজটিও করছি। আশা করি ভালো সংবাদই পাবেন।

বি-দেশ নিউজ: আরেকটু বিস্তারিত জানানো যাবে?

রাষ্ট্রদূত: আপনি জেনে খুশি হবেন যে শীঘ্রই দু’দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। সেখানে বেসরকারি খাতের উদ্যোগ নিয়েও কথা হবে।

বি-দেশ নিউজ: মিশরের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমান কেমন? বাণিজ্য বাড়ানোর কোন বিশেষ উদ্যোগ আছে কী?

রাষ্ট্রদূত: দু’দেশের বাণিজ্যের পরিমান প্রায় একশ মিলিয়ন, যদিও সেটা বলছি ফরমাল ট্রেডের কথা। কিন্তু ইনফর্মাল ট্রেড আরও বেশি। মূলত প্রচুর ফল, কৃষিপণ্য, সার, কেমিক্যাল আমদানি হয় বলে বাণিজ্য বাংলাদেশের পক্ষে নেই। তবে আমরা বাংলাদেশের এবং মিসরের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলা শুরু করেছি, যাতে মিশর থেকে বাংলাদেশে আমদানির মতো রফতানিও বাড়ানো সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে আমি বাংলাদেশী ও মিশরীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করবো, যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

বি-দেশ নিউজ: মিশরে প্রবাসীদের প্রয়োজনে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে?

রাষ্ট্রদূত: প্রবাসীদের চাকরির ভিসা এবং তা নবায়ন সহজীকরনে আলোচনা শুরু করেছি। এই কাজটি করা গেলে প্রবাসীদের অনেক উপকারে আসবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, কৃষি ও পর্যটনখাতে মিসরীয়দের সাফল্য থেকে শিক্ষা নেয়া যায়, তাতে বাংলাদেশের এই দুটি খাতে বিপুল সম্প্রসারণ ঘটার সম্ভাবনা আছে। জনসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে এদেশে চাকরির বাজার তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ কিন্তু বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা নিজেরাই চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করতে পারি। সাগর, বন্দর, ধর্ম ও ভাষার কারণে মিসর হল মধ্যপ্রাচ্য তথা এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের সংযোগস্থল। এখানে বিনিয়োগ করলে আমাদের ব্যবসায়ীগণ সহজে বিরাট জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাজারজাতকরণে সুবিধা পাবেন বলে মনে করেন রাষ্ট্রদূত।

রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম সম্পর্কে
উল্লেখ করা যেতে পারে মিশরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলাম বিসিএস দশম ব্যাচে প্রথম স্থান অধিকারী। পররাষ্ট্র ক্যাডারের এই কর্মকর্তা মিশরের দূতাবাস প্রধান হয়ে আসার আগে নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেল ও মরক্কোতে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, স্পেন, চীন, কানাডা ও ব্রাজিলে বাংলাদেশ দূতাবাসে বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ও অষ্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পররাষ্ট্র নীতি ও বাণিজ্যের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন বাংলাদেশের এই রাষ্ট্রদূত।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2022 b-desh.news
Theme Customized BY — ANT