হেগ (নেদারল্যান্ডস)
১৮ অক্টোবর, ২০২৪
বাংলাদেশের নদীগুলোকে শাসন না করে, সঠিক ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের পানি এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা। নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে ‘পানি এবং বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন।
এতে নেদারল্যান্ডসে কর্মরত বাংলাদেশি পানি বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডাচ রাষ্ট্রদূত, ডাচ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পানি বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
ঘন ঘন বন্যা এবং তীব্রতা ব্যাপকভাবে বাস্তুচ্যুতি, অর্থনৈতিক ক্ষতি এবং টেকসই উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের মুখে পরছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন তীব্র হওয়ার পাশাপাশি দুর্বল বন্যা ব্যবস্থাপনা ও পানি শাসনের কারণেই এই ঘটনাগুলো ঘটছে। বিশেষজ্ঞরা নতুন নতুন উদ্ভাবন ও সহযোগিতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ড. রুকনুল ফেরদৌস বলেন, বন্যার ঝুঁকি কমাতে বন্যার পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডেলফ্ট ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির পিএইচডি প্রার্থী কিফায়াথ চৌধুরী জোর দিয়েছেন সরকারী সংস্থা, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ এবং সম্প্রদায়ের নেতাসহ সকল খাতের সমন্বয় করার।
টিইউ ডেলফ্টের পিএইচডি প্রার্থী মোহাম্মদ সাইদী হাসান বলেছেন, আমরা বন্যার ঝুঁকিকে অর্থনৈতিক সুযোগে পরিণত করতে পারি। বন্যাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসাত্মক হিসাবে দেখার পরিবর্তে, টেকসই বন্যা ব্যবস্থাপনা কৌশল স্থানীয় অর্থনীতিকে উন্নত করতে পারে।
তিনি একই সাথে কৃষি, পর্যটন এবং মৎস্য চাষের মতো খাতগুলিকে সমর্থন করার পাশাপাশি জল ধারণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের উন্নতির জন্য জলাভূমি এবং সবুজ স্থানের মতো প্রাকৃতিক অবকাঠামো ব্যবহারের উপর জোর দেন।
ওয়াজেনিঞ্জেন ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড রিসার্চ (ডব্লিউইউআর)-এর গবেষক মোঃ ফিরোজ ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার উপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ বরাবরের মতো সহযোগিতার জন্য নেদারল্যান্ডস সরকার ও তাদের বিশেষজ্ঞদের ধন্যবাদ জানান।