ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২৪
রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রলম্বিত হওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ অন্যদিকে সরে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তা কমেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের জন্য পরিচালিত কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে আর্থিক সংকটে পরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল আলোচনায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এ তথ্য জানান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এবং দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস আয়োজিত “মানবিক পরিস্থিতে চক্ষুসেবার সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি: পাঠ ও সেরা অনুশীলন” শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেখাশোনা করা কেবল বাংলাদেশের দায়িত্ব নয়।
তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। আমরা তাদের পক্ষে কাজ করছি। কিন্তু এখন তারা আমাদের ভুলে যাচ্ছে।
মিজানুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১৬০ থেকে কমে এখন ১২০-এ দাঁড়িয়েছে এবং আর্থিক সংকটের কারণে বর্তমানে চালু স্বাস্থকেন্দ্রগুলোও তাদের সেবা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দিয়ে বাধ্য হয়েছে।
অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওএসবি) প্রেসিডেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস (আইএপিবি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কান্ট্রি চেয়ার অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করার সময় বলেন, চোখের যত্ন এখন আর কেবল স্বাস্থ্য সমস্যা নয়; এটি এখন উন্নয়ন সমস্যা।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরী আলোচনায় জানান, জুলাই আন্দোলনে যাদের চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য বাংলাদেশ নেপাল থেকে কর্নিয়া আনছে।
তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলের মধ্যে দুই রোগীর কর্নিয়া ঢাকায় পৌঁছানোর কথা।
স্বাগত বক্তব্যে দ্য ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস-এর সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ বলেন, স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে গণমাধ্যমের সহযোগিতায় চক্ষু স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সময় বলেন, বক্তারা যে সুপারিশ ও পরামর্শ দিয়েছেন তা তার প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য অংশীজনদের আগামী দিনে পথচলায় ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।