ঢাকা, ২৫ অক্টাবর, ২০২৪
সিসা দূষণ রোধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সচেতন সমাজ। সিসা দূষণ কমানো ও রোধের দাবি বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর সহযোগিতাও চেয়েছেন তারা।
আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে সিসা দূষণের বিরুদ্ধে ঢাকার তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তার মোড়ে আয়োজিত জনসচেতনতামূলক র্যালি ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিসা দূষণ বাংলাদেশের জন্য এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে, যা বিশেষত শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এক গবেষণা অনুসারে, দেশে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ শিশু সিসার উচ্চমাত্রায় ভুগছে, যা তাদের মানসিক বিকাশে স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।
ইউনিসেফের সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে ইয়ুথনেট গ্লোবাল ও পিওর আর্থ বাংলাদেশ। আয়োজনের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘সিসা দূষণ বন্ধ হলে, বাড়বে শিশু বুদ্ধি-বলে।’
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার তরুণরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে অংশগ্রহণ করে।
পরে সিসা দূষণ প্রতিরোধে সরকারের কাছে পাঁচটি দাবিও তুলে ধরেন বক্তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে আনুমানিক ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও, সিসা দূষণের কারণে দেশের অর্থনীতিতে প্রতি বছর প্রায় ২৮.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হচ্ছে।
ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ঢাকা ইউনিটের সদস্য সুজানা জহির রাফা বলেন, ‘গর্ভবতী নারীদের জন্য সিসা দূষণ মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, যা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায় ও শিশুর বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।’
ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, ‘আমরা শিশুদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছি। সিসা দূষণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেয়ার এখনই সময়।’
সোর্স: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
