১২ নভেম্বর, ২০২৪:
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ডক্টর সৈয়দ রেফাত আহমেদ মঙ্গলবার বিকেলে থাইল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও প্রেসিডেন্ট চানাকর্ন থেরাভেচপোলকুলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতের মধ্যে সম্ভাব্য বিচারিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত তৈরি হবে বলে আশা করছে দু’পক্ষ।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি দুই দেশের বিচার বিভাগের জন্য একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো বিনিময় ও শেখার সম্ভাবনার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশে জুলাই বিপ্লবের পর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি বিচার বিভাগের যে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন সে সম্পর্কে থেরাভেচপোলকুলকে অবহিত করেন।
প্রধান বিচারপতি মামলার ব্যাকলগ কমানো, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের মান উন্নয়ন করার চেষ্টার কথা বলেন। তিনি সালিসি, মধ্যস্থতা, পুনর্মিলন এবং ডিজিটাল সমাধানে দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার সম্ভাবনাকে চিহ্নিত করেছেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত সম্প্রতি থাই সুপ্রিম কোর্টের তৃতীয় মহিলা প্রধান নিযুক্ত হওয়ায় বিচারপতি চানাকর্নকে অভিনন্দন জানান।
থাই প্রধান বিচারপতি বলেন প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা জোরদার করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে টেকসই উন্নয়ন অপরিহার্য। তিনি বার এবং বেঞ্চ উভয়ের সাথে জড়িত একটি দ্বিপাক্ষিক বিচারিক বিনিময় কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত তাকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর ও অন্বেষণের আমন্ত্রণ জানান।
এর আগে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি থাইল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী তাবি সোডসং-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলির জন্য কাজ করতে ঐক্যমত হন।
মিনিস্টার সোডসং বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে থাই বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত ব্যাংককে জাতিসংঘের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘এচিভিং জাস্ট সোসাইটিজ: ইনক্লুসিভ জাস্টিস পাথওয়েস ফর পিপল অ্যান্ড প্ল্যানেট ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক’ শীর্ষক সম্মেলনে মূল বক্তব্য দিতে সফর করছেন।
থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী বিভিন্ন বৈঠকগুলোতে তার সঙ্গে ছিলেন।