কায়রো, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪
দেশ হিসেবে মিশরের নাম আসলেই প্রথম যে ক’টা চিত্র ভেসে ওঠে তার একটি পিড়ামিড এবং তার ভেতরে সুরক্ষিত মমি। মিশরের পিরামিড, মমি, স্ফিংস ফেরাউন এখনও দুনিয়ার মানুষের কাছে রহস্যময় এক জগত।
রহস্যঘেরা এসব ইতিহাস আর ঐতিহ্য নিয়ে আছে নানা মিথ, নানা কাহিনী।
বিশ্বের মিশরবীদদের (ইজিপ্টোলজিষ্ট) কাছে মিশর এখনো রহস্যে মোড়া, কুয়াশা ঢাকা অধ্যায়। আর সে কারণেই প্রত্নতত্ত্ববিদ বলুন আর ইতিহাসবিদ; মিশর এর নাম শুনলেই তারা রোমাঞ্চিত হন। আরও কত কী যে এই দেশটিতে আবিষ্কার হওয়ার বাকি, তা নিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেন উৎসুক এই মানুষগুলো।
ইতিহাসবিদদের অনেকের মতে; ইতিহাসের পূর্বেও নাকি ইতিহাস আছে। সম্ভবত তার প্রমান স্বরূপই নতুন করে হাজির হলো এই কুকুর মমি।
গত সপ্তাহেই গিজার দ্য গ্রেট পিরামিডের চূড়ায় পাখি ধাওয়া করা কুকুরটিকে নিয়ে যখন বিশ্ব জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ঠিক তখনই নীলনদ উপত্যকা কিংস ব্যালীর এক কবরে পাওয়া গেল ৩,৫০০ বছরের পুরনো একটি কুকুরের মমি।
লোক্সরের কিংব্যালী’র (KV50) কবরে পাওয়া কুকুরের মমিটি।
এটি ফেরাউন আমেনহোটেপ II-এর পোষা কুকুর বলেই অনেকের বিশ্বাস। যিনি ১৪০১ থেকে ১৪২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মিশর রাজত্ব করেন।
কুকুরটিকে তার গলার মালা, এক বাটি জল এবং ১টি সুগন্ধির বোতলসহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল তারই প্রভু ফারাও আমেনহোটেপ II এর সমাধিতেই; এমনটাই মানছেন ইতিহাসবিদরা।
সময় পেলে দেখে আসতে পারেন কুকুর মমিটি। আপাতত আজ সেই কুকুরের মমির ছবিটিও দেখে নিন আপনারা, আর ভাবতে থাকুন- আরও কত কী দেখানোর বাকি রেখেছে ইতিহাসের খাজানা হয়ে থাকা মিশর নামের দেশটি!