বি’দেশ নিউজ
ঢাকা, ১০ অক্টোবর ২০২৫:
সংযুক্ত আরব আমিরাতে জুলাই-গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আটক হওয়া অবশিষ্ট ২৫ বাংলাদেশির মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ জন্য সক্রিয় কূটনৈতিক ও আইনি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় প্রকাশ্যে মিছিল-শ্লোগান দেওয়ায় আটক হওয়া ২১৩ জনের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৮৮ জন দেশে ফিরেছে। তবে এখনও দেশটির জেলে বন্দি ২৫ জন। তাদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস এ বছর এপ্রিল থেকেই কার্যক্রম শুরু করে। আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানোসহ একাধিক দফায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মে মাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন। জুলাই মাসে কনস্যুলার এক্সেস (বন্দির জন্য প্রয়োজনীয় আইনি সুবিধাসহ) চেয়ে পুনরায় আবেদন করা হয়। পরে আটকদের পক্ষে কাজ করতে হামদান আল কাবি নামক একটি ল’ফার্ম নিযুক্ত করা হয়।
ল’ফার্মটি জানিয়েছে, বন্দিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলা থাকায় প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তবে দূতাবাসকে নিয়মিত আপডেট দেওয়া হচ্ছে।
৭ আগস্ট আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বন্দিদের তালিকা ও পূর্ববর্তী যোগাযোগের তথ্য হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ২১ সেপ্টেম্বর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আমিরাতের বিচারমন্ত্রীর কাছে আনুষ্ঠানিক অনুরোধপত্র পাঠান। ২২ সেপ্টেম্বর আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৫ জন বন্দির পাসপোর্ট ও ভিসা নম্বর চায়, যা ৩০ সেপ্টেম্বর দ্রুততার সঙ্গে পাঠানো হয়।
সরকার আশাবাদী, কূটনৈতিক ও আইনি প্রচেষ্টা শিগগিরই ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে এবং অবশিষ্ট বন্দিরাও মুক্ত হয়ে দেশে ফিরতে পারবেন।
সোর্স: প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়
