দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
৫ এপ্রিল, শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে দুতাবাসের দ্বিতীয় সচিব শিশির কুমার সরকারের সঞ্চালনায়, রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অথিতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। সঙ্গে বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নুরুস সালাম।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হওয়ার পর ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ই-পাসপোর্ট সেবার প্রকল্প পরিচালক নুরুস সালাম।
স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর বক্তব্যে বলেন, ই-পাসপোর্ট এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী নাগরিকদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজতর হবে এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। তিনি একটি তথ্যচিত্রের মাধ্যমে সরকারী যাবতীয় সেবা সহজীকরনের নিমিত্তে সরকারী কর্মচারীদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহবান জানান। সচিব নাসিমুল গনি বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে আমাদের চলমান অগ্রযাত্রায় সকলকে স্বীয় অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
সমাপনী বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ মিশরে ই-পাসপোর্ট সেবা চালুকরনের সাথে জড়িত সকলকে কৃতজ্ঞতা জানান।
আলোচনার পর জুলাইয়ের ছাত্র–জনতার গনঅভ্যুত্থানের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের পরে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করনের অংশ হিসেবে তিন প্রবাসীর হাতে ই-পাসপোর্টৈর ডেলিভারি স্লিপ তুলে দেন, যথাক্রমে স্বরাষ্ট্র সচিব জনাব নাসিমুল গনি, মিশরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ এবং ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনেরাল মুহাম্মদ নুরুস সালাম।
ই-পাসপোর্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশী শিক্ষক এবং কর্মকর্তাবৃন্দ, মিশরে প্রসিদ্ধ বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীবৃন্দ, পেশাজীবী, শ্রমজীবীসহ বাংলাদেশী মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।